৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসছে নিউজিল্যান্ড। এরই মধ্যে দলও ঘোষণা হয়ে গেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য যে দলটি বাছাই করা হয়েছে, বাংলাদেশ সফরে তার একজনও নেই! এমন দল দেখে অবাক হয়েছেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
সংবাদমাধ্যমকে হেড কোচ বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াড দেখে আমি কিছুটা অবাক হয়েছি। তবে নিউজিল্যান্ডে এখন প্রচুর ভালো ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের অনেক ক্রিকেটার আইপিএলে খেলে। তারা কাকে কাকে পাঠাচ্ছে এটা দেখে আমি অবাক নই। তবে অবাক লাগছে এটা দেখে যে, বাংলাদেশে যারা খেলবে, তাদের কেউ বিশ্বকাপে খেলবে না! এখানকার কন্ডিশন বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য ভালো হতো।’
দল দেখে অবাক হলেও আসন্ন সিরিজ থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজে নিচ্ছেন ডমিঙ্গো। তার মতে, ‘এসব সিরিজ থেকে যেকোন প্রতিপক্ষকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নেওয়ার আছে। ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাস খুবই জরুরী। জানি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের এখনও অনেক বিভাগে উন্নতি করার আছে। কিন্তু কঠিন কন্ডিশনে ভালো দলের বিপক্ষে জয় মানে দলটা ভালো কিছু করছে।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজে ভালো করলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পুরোপুরি ছায়া হয়েছিলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। মোট রান করেছেন মাত্র ২৮! এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সৌম্য সরকারের পক্ষেই কথা বলেছেন হেড কোচ, ‘দেখুন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ অসাধারণ। হ্যাজলউড, স্টার্ক বিশ্বের সেরা বোলারদের মধ্যে অন্যতম। তার ওপর এই পিচও ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল। জানি দুই ম্যাচ পরই লোকজন সৌম্যকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছে। অথচ দুই ম্যাচ আগেই সে সিরিজসেরা ছিল। প্রতিটি দিন রান করা সম্ভব নয়। খেলোয়াড়দের সমর্থন দিতে হবে। এক-দুই ম্যাচে রান না পেলে দল থেকে কাউকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে আমি পক্ষপাতী নই। আমি এটাই মনে করি।’
এসময় মিরপুরের উইকেট নিয়েও কথা বলেন তিনি। হেড কোচ আশা করছেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো উইকেটই হবে, ‘আপনি কোন উইকেটে খেলছেন তার ওপর রান নির্ভর করে। জিম্বাবুয়েতে ২০০ রান তাড়া করাও কঠিন নয়। আমরা জানি বড় রান করতে হবে, কিন্তু সেটা ভালো উইকেটে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভালো উইকেট প্রত্যাশা করছি। সিম মুভমেন্ট আছে এমন উইকেট এখানে পাবো না জানি। ব্যাটসম্যানদের জন্য রানবান্ধব উইকেট চাই।’
কোচকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে মিরপুরের উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সন্তুষ্ট ছিল না। সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেট নিয়ে তার বিশেষ কোন চাহিদা আছে কিনা? জবাবে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমি মাঠকর্মী নই, মাঠ প্রস্তুত করতে পারবো না। আমি আশা রাখতে পারি ভালো উইকেটের। আবহাওয়ার এই অবস্থায় উইকেট ভালো রাখা কঠিন হয়ে যায়। তেমন রোদ নেই, উইকেট শুকনো রাখা যাচ্ছে না। আর্দ্রতার কারণে বছরের এই সময়টায় উইকেট ধীরই থাকবে। আমি চাই ভালো উইকেট হোক। কিন্তু সেটা কঠিন।’